Wellcome to National Portal
ভূমি সংস্কার বোর্ড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ এপ্রিল ২০১৬

বেহাত হয়ে যাওয়া ভূ-সম্পত্তি উদ্ধার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ

 

 কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ এর আওতাধীন বেহাত হয়ে যাওয়া ভূ-সম্পত্তি উদ্ধার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ

The Court of Wards Act, ১৮৭৯ (Bengal Act, IX of 1879) অনুসারে কোর্ট অব ওয়ার্ডস পরিচালিত হয়। উক্ত আইনের ৬(ই) ধারা বলে ১৯১১-১২ সালে ভাওয়াল রাজ এস্টেট কোর্ট অব ওয়ার্ডসের তত্ত্বাবধানে আসে।ইনডেনচার মূলে ঢাকা নওয়াব এষ্টেটের সব সম্পতি ১৯০৮ সনে কোর্ট অফ ওয়ার্ডসের আওতাধীনে আসে। এই আইনের ৫ নং ধারা বলে সরকারের বোর্ড অব রেভিনিউ ১৯৭৩ সাল পর্যমত্ম কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালে বোর্ড অব রেভিনিউ এর বিলুপ্তির পর কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর দায়িত্ব সরাসরি সরকার পালন করেন। ১৯৮৫ সালে ভূমি প্রশাসন বোর্ড গঠনের পর কোর্ট অব ওয়ার্ডসের দায়িত্ব উক্ত বোর্ডের উপর অর্পণ করা হয় এবং ১৯৮৯  সালে ভূমি সংস্কার বোর্ড গঠিত হওয়ার পর কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর দায়িত্ব ভূমি সংস্কার বোর্ড এর উপর ন্যসত্ম করা হয়। বর্তমানে ভূমি সংস্কার বোর্ড কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর আওতাধীন ভাওয়াল রাজ এস্টেট ও ঢাকা নওয়াব এষ্টেট এর  কার্যাবলী তত্ত্ববাবধান করে আসছে। ১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে এস. এ জরিপের সময় কিছু ভূমিগ্রাসী স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি/মহল জরিপ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারীর যোগসাজসে ভাওয়াল রাজ এস্টেটের ও ঢাকা নওয়াব এষ্টেটের বিপুল পরিমাণ জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড সম্পাদন করতে অনায্যভাবে  সমর্থ হয়। ১৯৭০ এর দশকে রিভিশনাল ভূমি জরিপের সময়ও অনুরুপভাবে অনেক জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড হয়ে যায়। ভাওয়াল রাজ এস্টেটের সি.এস রেকর্ডীয় মোট ৩০,৪২০.৯২৪১ একর জমির  মধ্যে এস.এস রেকর্ডে এস্টেটের নামে মাত্র  ১৯৭.১১২০ একর  জমি এবং আর.এস  রেকর্ডে ২৬৯.৭২২০ একর  জমির ও সিটি জরিপে ৩৮৮.৫৩৫৮ একর জমির  রেকর্ড পাওয়া  যায়।  বিগত দু’টি জরিপে এস্টেটের সিংহভাগ জমি বেহাত হয়ে যাওযায় ঢাকা মহানগরীর সিটি  জরিপে  ভাওয়াল রাজ এস্টেটের সি.এস  রেকর্ডীয় ১,০৩৫.৫৩২১ একর জমির মধ্যে হাল  রেকর্ডে এই  এস্টেটের  নামে মাত্র   ৩৮৮.৫৩৫৮ একর জমি রেকর্ড  পাওয়া  যায়। বাকী  ৫০.০০ একর  জমি খাস খতিয়ানে, ৫৯৬.৯৯৮৩ একর বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ড পাওয়া যায়।  উক্ত  জমির রেকর্ড  সংশোধনের জন্য ভাওয়াল রাজ এস্টেট থেকে ল্যান্ড সার্ভে  ট্রাইবুনালে এ যাবত প্রায় ৪০০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরো মামলা দায়েরের অপেÿায় রয়েছে। তেমনিভাবে ঢাকা নওয়াব এষ্টেট এর সিএস রের্কড অনুযায়ী ১৯৭৩৯.৫৫২৯ একর জমি,এসএ রের্কড অনুযায়ী ৮০৩.৯০৯৪ একর জমি এবং আর.এস রেকর্ড  অনুযায়ী ঢাকা নওয়াব এস্টেটের নামে জমি ৭২.৯৯৭৭ একর জমি, চলমান সিটি  জরিপে এই এস্টেটের নামে ৭১৮.১১২৭ একর রেকর্ডীয় জমির  রেকর্ড  পাওয়া যায়। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে ভহমি সংস্কার বোর্ড ও  কোর্ট অব ওয়ার্ড কে বেহাত হয়ে যাওয়া সম্পতি উদ্ধারের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।  এই সব সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে পুরাতন রেকর্ডপত্রের অন্য জায়গাতে থাকার সমস্যা ২) একসনা লিজ/ দীর্ঘ মেয়াদি লিজ/ বিক্রয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব ৩) ভুলক্রমে কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর কিছু সম্পত্তি এস.এ এবং অর.এস জরিপের সময় সরকারি খাস খতিয়ানে কালেক্টরের নামে রেকর্ডভুক্ত হওয়া ৪)ঢাকা নওয়াব এস্টেটের কিছু সংখ্যক ওয়ার্ড কর্তৃক  নিজেদেরকে মালিক দাবি করে কোর্ট অব ওয়ার্ডসের সম্পত্তি অবৈধভাবে বিক্রয়ের চেষ্টা  লিপ্ত থাকা ৫)অবৈধ দখলকারদের  কর্তৃক কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর আওতাধীন ঢাকা নওয়াব/ভাওয়াল রাজ এস্টেটের  সি.এস, এস.এ ও আর.এস রেকর্ডীয় বেশ কিছু জমি দখল করে নেওয়া ৬)টেম্পারিং ও কাটা ছেঁড়া অবস্থায় অনেক সি.এস. পর্চা পাওয়া  ৭)ঢাকা নওয়াব এস্টেটের অধীনস্থ সাভার এলাকায় কোর্ট অব ওয়ার্ডসের ৪১২ একর সম্পত্তি বন বিভাগকে লিজ দেয়া হয় বনায়নের জন্য । উক্ত সম্পত্তিতে বন বিভাগ কোন বন সৃজন না করায় ও সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না করাতে  উক্ত সম্পত্তিসমূহের বেশ কিছু পরিমাণ ইতোমধ্যে বে-আইনী দখলদারগণের দখলে চলে যাওয়া । এই সব সমস্যা থাকা স^ত্বেও  ভহমি সংস্কার বোর্ড ও  কোর্ট অব ওয়ার্ডস কর্তৃপক্ষের  ঐকামিত্মক প্রচেষ্টাতে বেহাত হয়ে যাওয়া বেশ কিছু উলেস্নখ যোগ্য পরিমাণ  সম্পতি কোর্ট অফ ওয়ার্ডসের অধীনে নিয়ে আসা  সম্ভবপর হয়েছে।এই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

                                    কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ এর ভূ-সম্পত্তি উদ্ধার কল্পে গৃহীত পদক্ষেপঃ**

১.কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেট এবং নবাব এস্টেটের ভূ-সম্পত্তি সম্পর্কে তথ্য প্রদানপূর্বক সহযোগিতা দানের জন্য ইতোমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদদাতাদের অনুকূলে আইনী জটিলতা না থাকলে লীজ প্রদানে অগ্রাধিকার প্রদানের কথা বলা হয়েছে।

২ .যে সমস্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ এর সম্পত্তিতে ভোগ দখলকার আছেন তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লীজ প্রদানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

৩ . যে সব জমি ব্যক্তি মালিকানায় বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ড হয়েছে তার রেকর্ড সংশোধনের জন্য ঢাকা মহানগরী এলাকায় ইতোমধ্যে মামলা রুজু করা হয়েছে। অনুরূপভাবে অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও আইনী প্রক্রিয়ায় কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর জমি রেকর্ড সংশোধেনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

৪. চলমান জরিপে সি.এস রেকর্ড অনুযায়ী যাতে কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ এর নামে জমির রেকর্ড নিশ্চিত করা হয় তজ্জন্য মহা-পরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তার সাথে ইতোমধ্যে একটি সভাও করা হয়েছে। তিনি নীতিগতভাবে কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ এর জমির রেকর্ড প্রদানে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

৫.সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কোর্ট অব ওয়াডস্ এর জমি চিহ্নিতকরণপূর্বক রেকর্ড/নামজারীর সময় বিধিমতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

৬.কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভূ-সম্পত্তি সি.এস রেকর্ড মোতাবেক রেকর্ড হালকরণ/অক্ষুণ্ণ রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্ত ভূমি মন্ত্রণালয় হতে একটি পরিপত্র জারী করে সংশ্লিষ্টদের জানানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

৭.কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর জমির তথ্য অনুসন্ধানের নিমিত্তে ৩টি ছক বিগত ৮/৫/২০১২ খ্রিঃ তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)দের দেয়া হয়েছে। উক্ত ছকের ভিত্তিতে জেলা/উপজেলার মৌজাওয়ারী তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ঠ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে অনুরোধ করা হয়েছে।

(জনাব মোঃ আজমল হোসেন,সদস্য (অতিরিক্ত সচিব),ভূমি সংস্কার বোর্ড, ঢাকা মহোদয়ের এতদসংক্রামত্ম প্রবন্ধ হতে সংকলিত)